Header Ads Widget

মাতৃস্নেহের তুলনা নাই।

মাতৃস্নেহের তুলনা নাই। কিন্তু অতি স্নেহ অনেক সময় অমঙ্গল আনয়ন করে। যে স্নেহের উত্তাপে সন্তানের পরিপুষ্টি, তাহারই আধিক্যে সে অসহায় হইয়া পড়ে । মাতৃস্নেহের মমতার প্রাবল্যে মানুষ আপনাকে হারাইয়া আসল শক্তি মর্যাদা বুঝিতে পারে না। নিয়ত মাতৃস্নেহের অন্তরালে অবস্থান করিয়া আত্মশক্তির সন্ধান সে পায় না— দুর্বল, অসহায় পক্ষীশাবকের মত চিরদিন স্নেহাতিশয্যে আপনাকে সে একান্ত নির্ভরশীল মনে করে । ক্রমে জননীর পরম সম্পদ সন্তান অলস, ভীরু, দুর্বল ও পরনির্ভরশীল হইয়া মনুষ্যত্ব বিকাশের পথ হইতে দূরে সরিয়া যায়। অন্ধ মাতৃস্নেহ সে কথা বুঝে না—দুর্বলের প্রতি সে স্থির লক্ষ্য, অসহায় সন্তানের প্রতি মমতার অন্ত নাই— অলসকে সে প্রাণপাত করিয়া সেবা করে, ভীরুতার দুর্দশা কল্পনা করিয়া বিপদের আক্রমণ হইতে ভীরুকে রক্ষা করিতে ব্যাপ্ত হয় । [ঢা বো. ০৭; কু. বো, '০৬, সি. বো. ০৪] 

সারাংশ : মাতৃস্নেহের তুলনা হয় না। তবে অতিরিক্ত স্নেহ সন্তানের অকল্যাণ বয়ে আনে। স্নেহের আধিক্যে সে আপন শক্তির মর্যাদা বোঝার ক্ষমতা হারিয়ে পরনির্ভরশীল ও অসহায় হয়ে পড়ে। অন্ধ মাতৃস্নেহ তা বোঝে না বলে সন্তানের দুর্বলতাকে প্রশ্রয় দেয় এবং তাতে সন্তানের ক্ষতি হয়।

Post a Comment

0 Comments