২১ মার্চ,২০২৩
সকাল সাতটায় খাওয়াদাওয়া সেরে আমরা সোনারগাঁওয়ের উদ্দেশ্যে যাত্রা করলাম। সকাল নটায় সেখানে পৌঁছলাম। রাস্তার পাশে ভগ্নপ্রায় বিরাট দ্বিতল ইমারত, সামনে মস্ত পুকুরের পাশে গাছের সারি। শান বাঁধানো ঘাটে ঘোড়ার পিঠে বীরযোদ্ধার পাথরের খোদাই করা গর্বিত প্রতিমূর্তি স্মরণ করিয়ে দেয় বাংলার অবলুপ্ত শৌর্য-বীর্যের কথা। আর একটু এগিয়ে যেতেই দেখলাম শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের প্রচেষ্টায় নির্মিত বাংলার লোকশিল্প ও কারুশিল্প জাদুঘর। এখান থেকে শুরু ঈশা খাঁর রাজধানীর মূল ভবন। রাস্তার দুপাশে রয়েছে অনেক পুরোনো অট্টালিকা। প্রতিটি অট্টালিকায় রয়েছে প্রাচীন যুগের স্থাপত্য নিদর্শন। বাংলাদেশ সরকার পুরাকীর্তি সংরক্ষণ বিভাগের অধীনে সোনারগাঁওয়ের ধ্বংসপ্রায় প্রাসাদসমূহকে সংস্কার সংরক্ষণের আওতায় এনেছে। উত্থান-পতনের ধারা বেয়ে আজকের ধ্বংসপ্রায় সোনারগাঁও হয়তো একদিন বিলীন হয়ে যাবে। কিন্তু সোনারগাঁওয়ের স্মৃতি আমার মানসপটে চিরদিনই অমলিন থাকবে।
সাকিফ নেওয়াজ
নাজিরপুল, চট্টগ্রাম
0 Comments